খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরালা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক সোহেল রানাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাহিনীটি। তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে তার সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে তা প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। পুলিশ জানায়, আগের রাতে সদর থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। সোহেল রানা ছাড়া গ্রেপ্তার করা অন্যরা হলেন নগরীর সোনাডাঙ্গা স্বপ্না আক্তার ওরফে রুনা, নিরালা আবাসিক এলাকার সীমা, একই এলাকার রাজু শেখ ও সদর থানা সংলগ্ন গুলশান হোটেলের গ্রাহক আব্দুল হামিদ।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আটক পাঁচ জন গত রোববার দুপুরে রমজান আলী নামে একজনকে ডেকে নিয়ে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে যায়। পরে একটি কক্ষে একজন নারীকে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর এসআই সোহেল রানাসহ কয়েকজন ঘরে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে রমজান আলীর আপত্তিকর ছবি ধারণ করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সোহেল রানা। না দিলে রেকর্ড করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
পুলিশ জানায়, এই অবস্থায় রমজান আলী বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার এনে এসআই সোহেল রানার হাতে তুলে দেন। তিনি আরও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর রমজান আলীকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর রমজান বাদী হয়ে সোহেল রানাসহ ছয় জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন।
রফিকুল ইসলাম নামে আরও একজন একই কায়দায় তাকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে এসআই সোহেল রানাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বিডি২৪লাইভ
পাঠকের মতামত